ময়মনসিংহ বিভাগের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ত্রিশাল উপজেলা। শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সমন্বয় এই অঞ্চলকে করেছে অনন্য। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত এই উপজেলা দেশের শিক্ষা ও গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
ত্রিশাল থানা সৃষ্টি হয় ১৯০৯ সালে। ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চলে প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে উঠার প্রথম পদক্ষেপ ছিল এটি।
১৯৮৩ সালে ত্রিশাল থানাকে ১২টি ইউনিয়ন ও ৯১টি মৌজা নিয়ে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এটি ছিল ত্রিশালের উন্নয়নের মাইলফলক।
ত্রিশাল নামের উৎপত্তি নিয়ে নানা মতবাদ
ত্রিশুলধারী ব্যক্তি আগমন
তিনটি বড় শাল গাছের উপস্থিতি
ত্রিশাল শব্দটির আভিধানিক অর্থ বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় ত্রি অর্থ তিন এবং শাল অর্থ গৃহ।
ত্রিশাল = তিন + শাল = তিনটি গৃহ/আল
আভিধানিকভাবে ত্রিশাল শব্দের অর্থ তিন শালের সমাহার। ত্রিশাল নামের ইতিহাস সম্পর্কে বেশ কিছু কথা প্রচলিত রয়েছে। জানা যায় যে, এখানে এক সময় কোন ত্রিশুলধারী ব্যাক্তি এসেছিলেন। আবার অনেকে বলেন এ অঞ্ছলে তিনটি বড় শাল গাছ ছিল যা থেকে এ অঞ্চলের নাম হয় ত্রিশাল। এ তথ্য দুটির কোনটি-ই যুক্তি গ্রাহ্য নয়।
যে তথ্যটি সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য তা হচ্ছে এ অঞ্চলে প্রথম যখন মানব বসতি শুরু হয় তখন এখানে নদী নালা, খাল-বিল, হাওরের সংখ্যা ছিল অনেক। পুরো অঞ্চল জুড়ে ছিল গহীন অরণ্য। হিংস্র জীবজন্তু হতে রক্ষার জন্য জনগণ তাদের বাড়ীর দিকে উঁচু প্রাচীর তুলে দিত। আর এ উঁচু দেয়ালকে বলা হত আল। তখন বাড়ীকেও আল বলা হত। ত্রিশালে অনেক বড় বড় আল বা বাড়ী গড়ে উঠেছিল। কোন মানব দল এ অঞ্চলে বাস করতে আসলে তাদের ত্রিশ আল বা বাড়ীর যে কোন একটি বাড়ীর অন্তর্ভুক্ত হতে হত। ত্রিশ আল থেকেই বর্তমানে ত্রিশাল নামের উৎপত্তি হয়েছে।
"প্রাচীন কালে এ দেশের রাজারা ১০ গজ উঁচু ও ২০ গজ চওড়া প্রকান্ড আল বা বাঁধ নির্মাণ করতেন।"
আল সম্পর্কে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আবুল ফজলের এই বক্তব্য ত্রিশালের নামকরণ তত্ত্বকে আরও সমর্থন করে। আভিধানিক অর্থের পাশাপাশি এ অঞ্চলের নামের উৎপত্তি সম্পর্কে যে সব মত প্রচলিত আছে তার মধ্যে এটি-ই সবচেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়।
উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন সংখ্যা
উপজেলার মোট মৌজা সংখ্যা
প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলমান ইতিহাস
ত্রিশাল উপজেলা সম্পর্কিত বিস্তারিত পরিসংখ্যান ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী